আজ (১০ জুলাই) বিকাল ২টায় দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।
এবার মোট পাশের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৮.৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের ৮৩.০৪ শতাংশ থেকে প্রায় ১৪.৫৯ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে । এছাড়াও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,৩৯,০৩২ শিক্ষার্থী, যা ২০২৪ সালের ১,৮২,১২৯ এর থেকে অনেকটাই কম ।
মেয়েদের পাশের হার: ৭১.০৩%
ছেলেদের পাশের হার: ৬৫.৮৮%
মেয়েদের তালিকায় জিপিএ-৫: ৭৩,৬১৬
ছেলেদের তালিকায় জিপিএ-৫: ৬৫,৪১৬
বোর্ড পাশের হার (%) জিপিএ-৫ (সংখ্যা)
রাজশাহী ৭৭.৬৩ ২২,৩২৭
যশোর ৭৩.৬৯ ১৫,৪১০
চট্টগ্রাম ৭২.০৭ ১১,৮৪৩
কারিগরি ৭৩.৬৩ ৪,৯৪৮
ঢাকা ৬৭.৫১ ৩৭,০৬৮
সিলেট ৬৮.৫৭ (জিপিএ-৫ তথ্য পুরন হয়নি)
দিনাজপুর ৬৭.০৩ ১৫,০৬২
কুমিল্লা ৬৩.৬০ ৯,৯০২
বরিশাল ৫৬.৩৮ ৩,১১৪
ময়মনসিংহ ৫৮.২২ ৬,৬৭৮
মাদ্রাসা বোর্ড ৬৮.০৯ ৯,০৬৬
রিজাল্ট অনুযায়ী, রাজশাহী বোর্ড সর্বোচ্চ পাশের হার (৭৭.৬৩%), আর বরিশাল বোর্ড সর্বনিম্ন (৫৬.৩৮%)—শিক্ষানীতিক বিশ্লেষকদের মতে এটি উদ্বেগজনক ।
বিশেষ করে গণিত বিষয়ে ফলাফলে বড় ধাক্কা লেগেছে, যা সামগ্রিক ফলপ্রভাবিত করেছে। ঢাকা, কুমিল্লা, দিনাজপুর ও মাদ্রাসা বোর্ডে গণিতে পাশের হার ছিল প্রায় ৭০% বা তার কাছাকাছি; অন্যদিকে বরিশাল ও ময়মনসিংহে তা মাত্র ৬৪% র আশেপাশে ছিল ।
২০২৫ সালের এসএসসি রেজাল্টে বেশ কিছু উদ্বেগজনক চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পাশের হারের ব্যাপক পতন (~১৪.৬ শতাংশ পয়েন্ট) এবং গণিত বিষয়ক দুর্বলতা। সরকারের উচিত দ্রুত শিক্ষা ব্যবস্থায় পর্যালোচনা ও গঠনমূলক পরিবর্তন আনা, যাতে আগামীতে এমন পতন প্রতিরোধ করা যায়।
লিঙ্গভিত্তিক ও বোর্ডভিত্তিক পার্থক্য উদ্বেগজনক হলেও, মেয়েদের সুপারিশযোগ্য পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো।