বিজয়নগরে সীমানা বিভক্তির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচননগর (আইসি) ভোটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (স-বিজয়) আসনের পুনর্বিন্যাসের খড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে উত্তর সীমান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা।

প্রস্তাবিত সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে ঢাকা এবং প্রত্যাহারের দাবিতে (৭ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার সর্বস্তরের-সিলেট মহাসড়ক প্রতিবাদ প্রদর্শন করেছে। প্রায় দুই ঘন্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের সামনে জোর দিয়ে যেতে হয়।

সর্বদল বিজয়নগর আওয়ামী চান্দুরা ডাকবাংলো মোড়ে ‘সর্বদলীয় প্রতিনিধি’-ব্যানারে এই অবরোধ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। গ্রুপে ইসলামী বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম ও ন্যাশনালিস্ট) সহ বিভিন্ন দলের সমর্থন ও সাধারণ জনগণের গণসংহতি অংশ। আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ও স্লোগান দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ হস্তক্ষেপে এবং তাদের আশ্বাসের ধর্ম আন্দোলনকারীদের অবরোধের কথা।

সমাবেশ সমাবেশে বলেন, বিজয়নগর ঐতিহাসিক একটি এবং ভৌগোলিক সুসংগঠিত উপজেলা। এই দেশের ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চান্দুরা, ওষপুর ও বুতি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব বিজয়নগরের মানুষের আত্মম্যাদায় খবর হেনেছে। তারা বলেন, প্রায় দুই লক্ষাধিক ভোটার অধ্যুষিত বিজয়নগর উপজেলা একক সংসদীয় আসনের নির্বাচন নির্বাচন, নির্বাচনের পর আরও বছর ধরে এই নির্বাচনের বিভিন্ন অংশকে প্রধান, নাসিরনগর বা সরাইল আসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জনগণকে অবহেলা করা হচ্ছে।

বাজারের বিষয়ক উপজেলা ডা. আলী নেওয়াজ এবং সেক্রেটারি শিহাব হোসেন বলেন, বিজয়নগরের সদস্যরা অন্যদের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে সামাজিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন উন্নয়ন হবে। হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন বলেন, এই বিভারের মাধ্যমে বিজয়নগরে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে এবং জনগণের গ্রহণকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

এই সীমানা পুনর্বিবেচনা ও বিজয়নগর বিজয়নগর আওয়ামীলীগ ঐক্যকে ঐক্যকে সমর্থন করবে। এ ছাড়া আরও উপজেলা পরিষদটন উপজেলা পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন শাহ, এডভোফিফ লি ইসলামুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ সদস্য ডক্টর ফিকুল ইসলাম, সমদলের সদস্য আহবায়ক এএইচ. এম গোলাম জহির, হেফাজতেইসলামের সাংগঠে বক্তব্য মুফতিনিক এনামুলক বাশারী, যুগ্ন শক্তি সিহাব চিদ্দিকী, শাহ আল্লম মাস্তার, হুমায়ুন কবির খান, খাবিরুর রহমান মনির, বিআরবিরডি গ্রুপ এমএইচ জরুল ইসলাম, ভাইস প্যানেল ছায়েদ খন্দকার, মায়ূন কবির ভূইয়া, রাষ্টু সরকার, সাঈদ খোন, চান্দুরা ঐক্য ঐক্যের সাধারণ নির্বাচন আলী ইমরান, সাংঠনিক নির্বাচন হেলাল দল, আক্তার ইয়া, ফরিদ মেম্বার, সোহাগ খন্দকার, কাজল ইয়্যাব আলী, সাবদুল, কাজল উপজেলা নেতা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তুহিন উপজেলা, কর্মদলের যুগ্ম প্রার্থী আব্দুল কাদের মীয়া, উপজেলা ছাত্র মোহাম্মদ আলী, সম্ভাব্য উপজেলা ছাত্র দল আলাদা রাকিব, আলী রহমান, হেজু খান, বুধন্তী ইউনিয়নের মাহবুবুল আলম, আবদুল কাইয়ুম রাষ্টু, হাসান ভূইয়া, কামাল আমি, হরষপুর ইউনিয়নের আবু তাহের মেম্বার, আলী আমজাদ খান, কাসেম কিবরিয়া, জিয়া উর রহমান, সালা দল, মাওলানা কবির হোসাইন, জলফু মেম্বার, মোবাশ্বির হোসাইন সহ বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম, বিপ্লবে ইসলামী, এনসিপির হাজার সাধারণ জনগণ গণ মিছিলে অংশগ্রহন করেন।

সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই খসড়ার প্রস্তাব বাতিল ঘোষণা করা হয়। মানা না হওয়া হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ সহ আরও শক্তি অর্জন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি মুসলিম আন্দোলনকারীরা। তাদের, বিজয়নগরকে অখণ্ডের মধ্যে শেষ হয় যেমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ আসন, নির্বাচনই বহাল রাখতে হবে অথবা বিজয়নগরকে একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন হিসাবে বের করতে হবে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানা একটি খসড়া ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে তা ১০ আগস্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। প্রাপ্ত আপত্তির পক্ষে শুনানি পরামর্শ ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রকাশ করবে। বিজয়নগরের বিভিন্ন দল ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দাবিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে যেখানে সেখানে ঐক্যকে বিনির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।