দেশের একমাত্র ভিভিআইপি মেগাসিটি রাজধানী ঢাকা। দেশের মাথা সার্বিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি, ধারক-বাহক। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়া স্বত্বেও রাজধানী ঢাকা যেমন নিজেকে নিরাপদ করে সাজাতে পারিনি তেমনি দেশকে নিরাপদ করে সাজাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতির মাথা ওয়ালাদের দায়ভার এরিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জাতির কর্তা বাবুরা যদি শপথ ভঙ্গ করে পথ দেখাবে কারা? বারবার ঘটনা ঘটার পর এ থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছি আর কি শিক্ষা দিচ্ছি? রাজাবাবুরা, মহান রাজনীতিবিদ, জ্ঞানীগুণি সুধীসমাজ ঘটনা ঘটার পর শোক বার্তা আর ফুলের মালা নিয়ে ফটো সেশনের দৌড়াদৌড়ি আর রাষ্ট্রের কর্তাবাবুদের নড়েচড়ে বসে কিছুদিন নাটক চলে এর পরে যা তাই।
সুধী সমাজের ডজন ডজন সেমিনার, পত্রিকার শিরোনাম, টিভির টশোর গরম খবর বানিয়ে জনগণের আবেগকে হাইজাক করে বাণিজ্যিক প্রচার। স্বজন হারাদের কাছে এর কোনো দাম নেই।
একটি জীবনের মূল্য কত, শূণ্য? একটিও জীবন ফেরত দিতে পারেনি স্বাধীনতার ৫৫ বছরে রাজধানীতে স্পর্শ কাতর হৃদয়বিদারক অনেক ঘটনা ঘটে গেছে এবং ঘটছে সর্বশেষ উত্তরায় স্বনামধণ্য বিদ্যাপিট মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ইংরেজি ভার্সন ভবনে বিধ্বস্থ শিক্ষানবিশ ১৯৬৬ সালের পুরোনো ধাঝের বিমানটি পাইলটসহ বিধ্বস্থ হয় এতে প্রায় শত শত শিশু ছাত্র ছাত্রী স্কুল শিক্ষক শাহাদত বরণ করেন।
শত শত আগুনে দগ্ধ মৃত্যুর যন্ত্রনার সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মহামান্য রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন আর কত জীবন নষ্ট হলে নিরাপদ হবে রাজধানী? মহামান্য আদালতের কাছে জানতে চাই এসব সাধারণ থেকে অসাধারণ জীবনগুলোর ক্ষতিপূরন কে দেবে? রাজধানী এখন আর্শিবাদ নয় অভিশাপ। ভাগেযোগে দুর্নীতি অপরাধের এক স্বর্গরাজ্য।
এক নজরে বর্তমান মেগাসিটি রাজধানীর বিপদজ্জনক অবস্থা, দুই সিটির মোট ১২৯ টি ওয়ার্ড, ২০টি সংসদীয় আসন সমন্বয়ে গঠিত দেশের একমাত্র ভি.ভি.আই.পি. মেগাসিটি এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ চলমান থাকা স্বত্তে ও রাজধানীর আবাসস্থান, আবাসন, অবকাঠামো, যোগাযোগ, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বস্ত্র, জীবন, জীবিকা, পরিবেশ, মানবিক, সুনীতি, আইন-আদালত, উন্নয়ন, রাজনীতি, গণতন্ত্র, ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থনীতি, গণমাধ্যম, মুক্তবাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, ভোটাধিকার, ধর্ম, ক্রীড়া, সাংস্কৃতি, বিনোদন, সামাজিক নিরাপত্তা, মৌলিক পরিষেবা ব্যক্তি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সব ধরনের স‚চকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে সর্বক্ষেত্রে নিরগামী, মহাবিপদজ্জনক অবস্থানে রাজধানী ঢাকা।
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জরিপে এমনই ভয়াবহ তথ্যচিত্র উঠে এসেছে। কোন ভাবেই কোনো সরকার, হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ, দল গুলো, বিত্তশালী, অভিজাত ও ক্ষমতাবান শ্রেণি, সুশীল সমাজ, নীতি নির্ধারক, গণমাধ্যম, রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি এবং পরিচালকদের দায়ভার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের প্রায় অর্ধেক কর্মস্থান রাজধানীতে এবং তা বেড়েই চলেছে।
২৪ ঘন্টা রাজধানী মুখী জনতার যা মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। সময়ের প্রয়োজনে সব আয়োজন করেই নিরাপদ বাংলাদেশের স্বার্থেই নিরাপদ ঢাকা গড়তে হবে, এর বিকল্প নেই। ঢাকা মুখী বাংলাদেশ হওয়ার কারনেই রাজধানী ঢাকা তার স্বাভাবিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, বৈশ্বিক আবহাওয়া আর মানুষ্যে তৈরি দুর্যোগে বিপদজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকার উপর ক্রমশ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টন ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অক্সিজেন কমে যাচ্ছে, কার্বনডাইঅক্সাইড আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাজধানী ঢাকার পরিধি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা তার নিজস্ব ভারসাম্য ও ধারণ ক্ষমতা প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলছে, ৮ মাত্রার উচ্চ ভ‚মিকম্পের আশংঙ্খা।
বিশ্বের দূর্নীতির শহরে ৫ম এবং দেশে ১ম, অপরিকল্পিত নগরায়নে ৩য়, অনিরাপদ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৭ম, জনসংখ্যায় ৪র্থ, ঘনবসতি ১ম, আয়তনে ৭ম, মেগা সিটি ১১ তম, বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহর ৬ষ্ঠ, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (২৫-৪০) হাজার মানুষের বসবাস, ৩ হাজার বস্তিতে ৪০% জনগণের দূর্বিসহ বসবাস, বর্তমানে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ জনতা।
ঢাকামূখী বাংলাদেশ এভাবে চলতে থাকলে ২০৩৫ সালে স্থায়ীভাবে প্রায় ৪ কোটি লোকের জন বিস্ফোরণ ঘটবেই যা একরকম সামাল দেওয়া প্রায়ই অসম্ভব হবে! এর মধ্যে ৭০% দারিদ্র ও বেকারত্ব শ্রেণি।
যানযটের শহরে ৫ম, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মূল্যবান কর্মঘন্টা ভয়াবহ জ্যামে নষ্ট, প্রিয় জীবনকে তিলে তিলে হত্যা করছে তেমনি হাজার হাজার কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব হারাচ্ছে।
ধীর গতির শহরে: ১ম নদী দূষণে ২য়, বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত ধোয়ায় দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ২য়, শব্দ দ‚ষণে ২য়, পানি দূষণে ৩য়, নিয়ম ভঙ্গে ১ম, বেকারত্বে ৬ষ্ট, ৫ম বাস্তচ্যুত শহর, মানষিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টিতে ৭ম, বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি ও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে ২য়, শংকর জাতি হিসাবে বিশে ৩য়।
দেশের ৮০% উচ্চ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা রাজধানী কেন্দ্রীক। বিপদজ্জনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়ংকর সব বিভিন্ন অপরাধ চক্র, ঘুষ, স্পীডমানি, ১০%-৩০% কমিশন, তদবির দালালী ১ম, সময় অপচয়ে, অলসতা, আড্ডা, নেতিবাচক মনোভাবে ১ম, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সূচকে ১১৩ তম, মানব উন্নয়নে ১২৩তম, চিকিৎসা সেবায় ১৫২তম, সংবাদ মাধ্যমের অবস্থান ১৫১, পুলিশ সেবায় অবস্থান ১৫৪ তম, আইন শাসনের সূচকে ১২৭তম (১৪২ দেশ), ফুটবলে ১৮৩তম, সড়ক দুর্ঘটনায় অবস্থান ২য়, সবচেয়ে ফিটনেস বিহীন যানবহন এবং লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ বিহীন চালক অবস্থান ১ম, অপর্যাপ্ত ও দুর্বল ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স, বাতাসে বিষাক্ত পিএম জিবাণুর মাত্রার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি, বৈশ্বিক আবহাওয়া সব মিলিয়ে বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ শুধুমাত্র চিকিৎসা খাতের জন্য ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
দুর্নীতি হয় ৩০ হাজার কোটি টাকার উপর, ৩০ লক্ষ মামলার জট, ৩০ লক্ষ শিক্ষার্থীর যুদ্ধকরে অনিশ্চিত স্বপ্ন ছুই বেঁচে থাকা। ঢাকাতে আগামী ১০ বছরে নিশ্চিত বিশুদ্ধ পানি যুদ্ধ। রাজধানীর প্রাণ বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, তুরাগ, শীতালক্ষ্যা সহ ঢাকার নদী গুলির পানি দুর্গন্ধময় ব্যবহারে সম্পূর্ন অনুপযোগী।
এক ঘন্টার বৃষ্টিতেই ৩ ফিট পানির নিচে, পানি, পয়ঃনিস্কাশন, জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ এবং যত্রতত্র টনটন দুর্গন্ধময় ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিন অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্বিসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের নগরীর ২য়।
অপরিকল্পিত নগরায়ন অব্যবস্থাপনার কারণে রাজধানী ও রাজধানী বাসী সর্বোচ্চ ঝুকির জন্য নিরাপদ রাজধানী গড়ার অন্যতম প্রধান কারিগর রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), দুই সিটি কর্পোরেশনসহ রাজধানীর উন্নয়নে সরাসরি জড়িত কর্তৃপক্ষের দায়ভার এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আধুনিক যোগাযোগ ও আবাসন ব্যবস্থা নির্দিষ্ট পরিসরে সরকার সহ কিছু স্বনামধন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে কিন্তু সার্বিক নিরাপদ মেগাসিটি ঢাকার জন্য তা খুবই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ। রাজধানীর প্রত্যেকটি হেডকোয়াটার্স দপ্তর অধিদপ্তর গুলো উপরে দেখতে এতোটাই ফিটফাট যে, দেখে বোঝার উপায় নেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আছে বিস্তর অভিযোগ।
ঢাকার সমস্যার পাশাপাশী দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা কেন অনিরাপদ ঢাকা এর জন্য জাতীয় ভাবেই যেসব জাতীয় সমস্যা গুলো দায়ি তা রাজধানী থেকেই তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে (১) জাতীয় রাজনীতির অধঃপতনের ষোলোকলা পূর্ণ যার ফলে প্রতিহিংসা আর লোভের রাজনীতির আগুনে জ্বলচ্ছে বাংলাদেশ, এর শেষ কোথায়? (২) জাতীয় ইস্যুতে অনৈক্য (৩) ঢাকামুখী বাংলাদেশ (৪) সবার বাংলাদেশ হয়নি (৫) সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ শব্দটি সুনিশ্চিত হয়নি (৬) সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাইনি (৭) জনতার গণতন্ত্র পরাধীন (৮) আমলাতন্ত্রের জটিলতা ও কুটিলতা (৯) রাষ্ট্রের অর্গানগুলো জনবান্ধব হয়নি (১০) বৈষম্য, অসমবন্টন এবং সংস্কার না হওয়া (১১) জাতীয় মাস্টার প্লানে ব্যর্থ, অপরিকল্পিত পরিকল্পনা, বাকা পথের উন্নয়ন (১২) ব্রিটিশ অনুশাসনে পুলিশ ও বিচার বিভাগ (১৩) গণমাধ্যমের কলম ও কন্ঠরোধ (১৪) দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়া (১৫) জাতীয় শপথ চালু না হওয়া (১৬) ঢাকা মুখী জাতীয় অর্থনীতি জিম্মি (১৭) যোগ্যতা দক্ষতার অবমূল্যায়ন (১৮) জাতীয় ভাবেই নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় (১৯) ক্ষমতার ভারসাম্য এবং বিকেন্দ্রীকরণে ব্যর্থ (২০) রাষ্ট্রের মহাজন হিসেবে জনগণ অসম্মানীত, অধিকার বঞ্চিত, চাকর এবং পণ্য হিসেবে গন্য! (২১) বেকার বৃদ্ধির মুখুস্ত বিদ্যার শিক্ষা (২২) পাঠ্যসূচিতে প্রযুক্ত নির্ভর মানবিক, পুষ্টি স্বাস্থ্য ও উদ্যোক্তা বিষয় নেই এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার মান গড়ে ওঠেনি (২৩) অসচেতন স্বাস্থ্যহীন বিপুল জনসংখ্যা (২৪) শিক্ষিত-অশিক্ষিত অধিকাংশ দিনকানা, দলকানা, আবেগী, অন্ধ বিবেচনা, শৃঙ্খলাহীন, অলস এবং অপচয় প্রিয় (২৫) প্রতিটি জনগণকে জনসম্পদে এবং প্রতিটি পরিবারকে প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে ব্যর্থ। (২৬) বিভাগীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠা (২৭) স্বাধীন কমিশনগুলো দন্তহীন বাঘ। (২৮) লোভ, ক্ষমতা, বিলাসীতা, দালালী, অহংবোধ রাষ্ট্রযন্ত্রকে গ্রাস করেছে (২৯) ৬০% তারুণ্য শক্তিকে অবহেলা (৩০) উদ্যোক্তা নয় চাকর মনোবিত্তি (৩১) হৃদয়ে দেশপ্রেম সুনীতি নয়, দুর্নীতিকে ধারণ (৩২) মেগাসিটি রাজধানী বিশ্বের দুর্নীতিতে ৫ম এবং দেশের ১ম (৩৩) ভাগে যোগে অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতির মহা সিন্ডেকেট, ভয়ংকর অপরাধ সিন্ডিকেটচক্র (৩৪) ১০% পরিবারের কাছে দেশ ও জনগণ জিম্মি এর মধ্যে ৭%-ই রাজধানীর (৩৫) আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র (৩৬) মৌলবাদ, জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাফিয়া, মাদক ওপেন সিক্রেট (৩৮) জেনে-শুনে-বুঝে বার বার ভুল এবং অপরাধ করেও পার পাওয়া (৩৮) জনগণ মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে কোন প্রতিবাদ অভিমান ছাড়াই রাষ্ট্রকে দিয়ে যাচ্ছে এভাবে আর কতদিন? (৩৯) রাষ্ট্রযন্ত্রের জবাবদিহিতা ও সময় উপযোগী ন্যায্যতা নিশ্চিত না করা (৪০) সময়ের যথাযথ মূল্যায়নে ব্যর্থ (৪১) অসীম সম্মান, সম্পদ, ক্ষমতাবান হলেও রাষ্ট্র এবং জনগণের হক নষ্ট করে জান্নাতে বা স্বর্গে যাওয়া অসম্ভব, জানা সত্তে¡ও পৃথিবীই সব (৪২) রাষ্ট্র সংস্কারের পূর্বশর্ত বিবেকের সংস্কারে ব্যর্থ। (৪৩) ব্যক্তি থেকে সরকার আত্মসমালোচনা, অপবাদ, পদত্যাগ করতে, শুনতে এবং মানতে নারাজ। (৪৪) পোশাকের উদারতা দেখাতে পারলেও মনের উদারতা দেখাতে ব্যর্থ। (৪৫) ব্যক্তি থেকে বৃহত্তর নিজ নিজ স্বার্থে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতিকে মেনে নিচ্ছি। (৪৬) আকাশ অপসংস্কৃতির কবলে বৃহত জনগোষ্ঠী। (৪৭) মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা নিয়ে এখনও শ্রদ্ধাহীন বাকযুদ্ধ (৪৮) জাতি স্পষ্টভাবেই ৪টি ভাগে বিভক্ত (৪৯) ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা বিপদজ্জনক অভিশপ্ত বোঝা (৫০) পবিত্র শপথ, পবিত্র কলম, পবিত্র পোশাক, পবিত্র চেয়ার প্রশ্নবিদ্ধ, শ্রদ্ধাহীন, অবিশ্বাস, অনিরাপদ (৫১) রাষ্ট্রের রক্ষা কবজ পবিত্র সংবিধান পূর্ণতা পাইনি!।
সব মিলিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ সহ টোটাল উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ এবং হুমকির মুখে এতে মেগাসিটি রাজধানী যেমন ক্রিটিক্যাল চ্যালেঞ্জে তেমনি দেশের জন্য মহাবিপদজ্জনক সিংনাল।
জুলাই বিপ্লবের আজ ১১ মাস চলমান দেশ মহাজন জনগণের অসম্ভব কষ্টের অর্জিত অর্থের ট্যাক্সে সব সাহেব, সব উন্নয়ন সেই জনগণ কি চেয়েছে আর কি পাচ্ছে? রাষ্ট্রকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ভয়াবহ মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স, ইনজাস্টিস যেন অপ্রতিরোধ্য, ওপেন সিক্রেট! জুলাই বিপ্লব কী ব্যর্থ হবে? সব কিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক যদি এখনই কঠোর নীতিতে ভবিষ্যৎ মহা পরিকল্পিত পরিকল্পনায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নিতে পারি, রাজধানী ঢাকাসহ দেশকে দিতে হচ্ছে এবং হবে চরম খেসারত।
রাজধানী ঢাকা বাংলাদেশের মাথা ইতোমধ্যেই ৬০% পচন ধরেছে প্রয়োজন অতি জরুরী অপারেশন। জাতীয় পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দকে এবং মাননীয় সরকার প্রধান, দেশপ্রেমিক সেনাপ্রধান সমীপে খোলাপত্রে সাহসী কন্ঠে বলতে চাই রাজধানী ঢাকা যেন অনিরাপদ কৌশলের ষড়যন্ত্রের জালে চিরস্থায়ীভাবে ঢাকা পড়ে না যায়? সবার আগে বাংলাদেশ।
হাতে সময় খুবই কম দেশ ও জনগনের সর্বোচ্চ স্বার্থে নিরাপদ রাজধানী এবং নিরাপদ দেশ গড়তে মিশন ভিশন “বহুমুখী বাংলাদেশ, চ্যালেঞ্জ বৃহৎ জনসংখ্যা, টাগের্ট ২০৫০ সাল” সামনে রেখে ৫ ধাপে (১ থেকে ৫+১০+১৫+২০+২৫ বছর মেয়াদী) সিদ্ধান্ত যত কঠিনই হোক কঠোর সংস্কার নামক অপারেশন বাস্তবায়ন করতেই হবে। নিরাপদ ঢাকা সফল হলে, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়া সময়ের ব্যাপার।
দৈনিক টার্গেট
খুব শীঘ্রই পত্রিকা বাজারে আসছে!
সত্য সংবাদ, নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও পাঠকের আস্থায় দৈনিক টার্গেট এগিয়ে চলেছে নতুন দিগন্তে।
“সত্যের পথে, জনগণের কণ্ঠস্বর”