বিশ্লেষণে মোঃ আতাউর রহমান, সম্পাদক ও প্রশাসক, নিরাপদ ঢাকা নিউজ
নতুন শপথে নতুন বিশ্ব গড়ার প্রথমেই হোচট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের, কথা দিয়ে কথা রাখতে পারলেন না! লালন শাঁইজি বলেন “যে দিন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান জাতি গোত্রভেদ নাহি রবে, এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে”। ভুপেন হাজারিকা বলেন “মানুষ যদি হয় দানব লজ্জা কী তুমি পাবে না”? শত হাজার, লক্ষ বছরের সাধনা আর কোটি কোটি মানুষের ত্যাগ, বিসর্জনে আজকের এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক পৃথিবী। পৃথিবীর বয়স যৌবন পড়ন্ত। আধুনিকতার সাথে সাথে মানবতা ততটাই আলোকিত হবার কথা ছিল কিন্তু সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে, শ্রেষ্ঠত্বের আমরা পরিচয় দিতে পারছি কি?! পৃথিবী আধুনিক হলেও সত্যিকারের সভ্য, মানবিক হতে পারেনি! একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ অমানবিক, নিষ্ঠুর অতি সুক্ষ অণুজীব নভেল করোনা ভাইরাস, গোটা বিশ^কে পরাজিত করে এক মঞ্চে বসিয়েছিলো কিন্তু হয়তো সেটা সাময়িক। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে প্রিয় জীবন বাঁচাতে পারিনি, চোখের সামনে লক্ষ লক্ষ মৃত্যুকে বরণ করতে হয়েছিলো। সামান্য অনুজীবের কাছে বিজ্ঞান বড় অসহায় ছিলো।
কি শিক্ষা গ্রহন করতে পারলাম? একদিকে বলছি মানবাধিকারের সর্বোচ্চ কথা, অন্য দিকে সভ্যতার অন্তরালে অপ্রত্যাশিত চরমভাবে লোপ পাচ্ছে ন্যায়-নীতির মানসিকতা। বর্তমানের সাথে সাথে আগামী ২০৫০ সালের বিশ^ হবে প্রযুক্তি নির্ভর আরো দ্রæত গতির, বহু কারণে হচ্ছে এবং হবে বিভক্ত। যেমন দেশে দেশে দ্বন্দ, রাজনৈতিক দ্বন্দ, অর্থনৈতিক দ্বন্দ, আঞ্চলিক দ্বন্দ, জাতিগত দ্বন্দ, ধর্মীয় দ্বন্দ, গোষ্ঠিগত দ্বন্দ, পরদেশলোভী দ্বন্দ, অসমশক্তির দ্বন্দ, আধিপত্য বিস্তারে দ্বন্দ, মানবাধিকার দ্বন্দ, আইনের দ্বন্দ, হীনস্বার্থের চরম দ্বন্দ ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে নোবেল প্রফেশন এবং কঠিন সেবার মাধ্যম যে রাজনীতি ছিল সভ্যতা, মানবতা, গণতন্ত্র, অধিকার প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার আজ সেই রাজনীতি আমাদের কারণেই একবারে উল্টো ধারায়! মানুষ্য তৈরি এসব দুর্যোগ-দুর্ভোগ যার কারণেই অসম বৈষম্য সহ ক্ষমাহীন, ঘৃণিত জঘন্যতম অপরাধ এবং ইনজাস্টিস বেড়েই চলেছে। দুনিয়ামুখী পাপাচার, অহংবোধের মাত্রা সীমাহীন, যা অতি দ্রæত থেকে দ্রæততম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়, যা পৃথিবীকে ঠেলে দিচ্ছে যুদ্ধ মহাযুদ্ধের আর ধ্বংসের দারপ্রান্তে। অন্যদিকে যাদের রক্তে ভেজা ঘামে অর্জিত অর্থে, শ্রমে, ত্যাগে আজকের এই আধুনিক বিশ^, সেই শত শত কোটি মানুষ শতকরা ৭০% জীবন জীবিকার যুদ্ধে ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব, অসম বৈষ্যেম্যর সাথে আজও প্রাণপন প্রতিদিন লড়াই করে যাচ্ছে, যেন বেঁচে থাকার প্রতিদিনের এক মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়, স্বপ্নহীন বেঁচে থাকা।
আজ আধুনিকতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসেও কেন হাজার হাজার কোটি বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলারের শিউরে উঠা সর্বাধুনিক ভয়ংকর অস্ত্রের লাগামহীন উচ্চ বিলাশী প্রতিযোগিতা। কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। কোন সভ্যতার জন্য? কোন মানবতার জন্য? এসব ভয়ংকর অস্ত্রের গবেষনা, উৎপাদন, রক্ষনা-বেক্ষণ, পরিচালনার খরচ সমূহ শিউরে উঠা, এই অর্থ দিয়ে গোটা পৃথিবীকে কল্পনাতীত মানবিক, নিরাপদ এবং সুন্দর করা যেতো। অপ্রিয় হলেও সত্য এমন কোনো দিন বা রাত যায় না, যেখানে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও রক্তপাত ঘটছে না, জীবন যাচ্ছে না, মানবধিকার হরণ হচ্ছে না, যেনো জোর যার মুল্লুক তার। যেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই বাদ যাচ্ছে না, এ লজ্জা কার? বিশে^র আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো চেয়ে চেয়ে কেবল দেখছে আর চার দেওয়ালের মধ্যে সেমিনারে নিন্দা জানিয়ে প্রেস কনফারেন্স! করোনা ভাইরাসের বিপদ কাটিয়ে এবং গুছিয়ে না উঠতেই আবারো রাশিয়া ইউক্রেন ভয়াবহ যুদ্ধে গোটা বিশ^ বহুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই যুদ্ধে গোটা বিশ^ সেখানে বিভক্ত অশান্ত হয়ে পড়েছে ঠিক তখনই আবারো পরাশক্তি ইসরাইল এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিন পুরনো সংঘাত নতুন ভাবে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। পৃথিবীর সর্বাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বর্বর ইসরাইল নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর ইতিহাসের বর্বরচিত ৪০ হাজার টনেরও বেশি বোমায় হাজার হাজার শিশু, নারী, যুবক, বৃদ্ধ লাশের পর লাশের কাতার করে চলেছে।
এতটাই নিষ্ঠুরতম হামলা হয়েছে এবং হচ্ছে যেখানে নিরাপদ অশ্রয় হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ ধ্বংস করেছে, চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেনা! লাশের গন কবর টুকুও দিতে পারছেনা, ভীতিকর ধ্বংসস্তুপের এক শূণ্য নগরী। মুসলমানের পবিত্র মাহে রমজানেও যুদ্ধ বিরতি না মেনে এতটাই নিকৃষ্ঠতম হামলা অবাহত রেখেছে যেনো পূর্বের শত শত কুখ্যাত শাসকদের নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে!জাতিসংঘ মিশন থেকে সুদীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কেন আজও শান্তিরক্ষা মিশন পাঠানো হলো না!? পৃথিবীর শান্তি প্রিয় জনগণের শেষ আশা ভরসার স্থান জাতিসংঘ অথচ জাতিসংঘের ভূমিকা সত্যিই পৃথিবীর শান্তি প্রিয় মানুষের আস্থা, বিশ^াস, স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। প্রশ্ন বর্বর ইসরাইলের কাছে বিশ্ব পরাশক্তিদের লজ্জাজনক পরাজয় কী? তাহলে জাতিসংঘ থেকে লাভ কী? পরামানবিক অস্ত্রের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অসভ্যতম নিকৃষ্ঠতম ভয়াবহ তৃতীয় বিশ^যুদ্ধ আরব বিশ্ব থেকে চূড়ান্ত ভাবে শুরু হতে যাচ্ছে কী? ভয়ংকর সেই মহা প্রলয়ের হাজার হাজার পারমানবিক বোমার মুহু মুহু বিস্ফোরণে পৃথিবী নামক বাসযোগ্য একমাত্র মায়াবী গ্রহটি ক্ষত-বিক্ষত ধ্বংস হবে এবং ভয়াবহ খেসারত দিতে হবে যা পুশিয়ে নেওয়া প্রায়ই অসম্ভব। রাশিয়া -ইউক্রেন, ইসরাইল এর সাথে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, লিবিয়া, ইরাক সর্বশেষ ইরানের সাথে ইসরাইলের ভয়াবহ যুদ্ধ সেই সাথে ইরানের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে ট্রাম্পের ২৫ হাজার কোটি টাকার বি-২ বোমারু বিমানে পরমানু গবেষণাগার ধ্বংসের নামে ১২টি শক্তিশালী ভোমার আগাতে গবেষণাগার ধ্বংস চালায়। যা বিশ্বব্যাপি সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশ্ব পরাশক্তিরা যদি আইন ভঙ্গ করে শপথ ভঙ্গ করে পথ দেখাবে কারা? ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যের নতুন যুদ্ধ পলিসি বিশ^ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুনে। দূর্বলের উপর চলছে সবলদের সব ধরনের টেষ্ট। মানুষ বাড়লেও মানবতা বাড়ছেনা! মানবতার শ্রেষ্ঠত্ব যেন হিং¯্র পশুত্বে পরিণত হয়েছে। বিশ^ রাজনীতি, জাতিসংঘ, মানবাধিকার, সংবাদ মাধ্যম, আইন আদালত, জেল-জরিমানা সমস্তই ধরাসই হয়েছে শতকরা হিসেবে অতি সামান্য, কিন্তু ভয়ংকর ক্ষমতাধর সম্পদশালী মাতবতার কলঙ্ক গোটা পৃথিবীর মাত্র ৫% সা¤্রাজ্যভোগীদের কাছে, বিশ^ জিম্মি হতে চলেছে। সার্বিক উন্নয়নে, সুশাসন, সুনীতির জন্য শত শত কোটি বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দ তার পরও এমন মহা বিপর্যয় কেন? অধঃপতনের যেন ষোলকলায় পূর্ণ। সবচাইতে পরিতাপ-পরিহাসের বিষয় সমস্ত অপশক্তির তান্ডব রুখে দিতে পারতো যে ইসলাম, সেটিকে অতি সুকৌশলে মানবতার বিরুদ্ধে মানবজাতির স্বার্থের প্রতিকুলে হিংসা নগ্নস্বার্থের ধ্বংসাত্বক পন্থা, সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ তোকমা লাগিয়ে দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। মুসলিম জাতি পৃথিবীর ৬০ ভাগ সম্পদের মালিক হওয়া সত্বেও শুধু মাত্র নিজেদের হীনস্বার্থ, রাজত্ব, রাজতন্ত্র, ক্ষমতা, অজ্ঞতা আর ভীরুতার কারণে নিজেদের অধিকার ও নিরাপদ বিশ্ব গড়তে অবদান রাখতে পারছেনা। এর দায়ভার মুসলিম বিশ^ মোড়লরা কোনো ভাবেই এড়াতে পারেনা। মানবজাতির সর্বশ্র্রেষ্ট অদ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পবিত্র আল-কোরআন, পবিত্র-গীতা, পবিত্র-বাইবেল, পবিত্র-ত্রিপিটক এবং সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আজ যেন শুধুই পবিত্রতাই সীমাবদ্ধ!? ইবলিসীয় নগ্নস্বার্থের কাছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোর মানবতার বাণী আজ বড় অসহায় মনে হচ্ছে? সর্বকালের বিশ^ সেরা মহা মানব হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) সহ বিশ^ মহানদের অসীম ত্যাগ আর অবদানের মূল্য কোথায়? যেন ইতিহাসের মিউজিয়ামে! প্রকৃতির নির্মম নিষ্ঠুর প্রতিশোধ সমসাময়িক ঘটে যাওয়া সুনামি, ভয়াবহ ভ‚মিকম্প সর্বশেষ নভেল করোনা ভাইরাস যা হলিউড সিনেমাকেও হার মানিয়েছিলো।
সেখানে কিসের এতো অহংকার? ক্ষমতার দাম্ভিকতা অভিশপ্ত পারমানবিক বোমার নিষ্ঠুর আঘাতে জাপান আজো ক্ষত-বিক্ষত এক জলন্ত উদাহরণ এসব থেকে কি শিক্ষা গ্রহন করছি? বিশে^র দূর্ধর্ষ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আলকাইদা, হামাস, তালেবান, ইসলামী স্টেট, হিজবুল্লাহ, আল সাবাব, তেহেরিকে পাকিস্তান, বকোহারাম, চাইনিজ টাইয়ার্ড, সিনালোয়া কার্টেল, ইয়াকুজা জাপান, স্বষ্টোকো কায়া বাদ্রার হুড, লা কোমা নোস্ট্রা ইতালী, খেলাফত জঙ্গী গোষ্ঠী বাংলাদেশ, হিজবুত তেহরী, অন্যদিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী দাউড ইব্রাহীম গেøাবাল ট্রেররিস্ট, আলকাপন আমেরিকা গ্যাংস্টার, পাবলো স্কোবার কলোম্বিয়া, জন গোটরী আমেরিকা গ্যাং স্টার, সালভেতর রিনা সিসিলিয়ান গ্যাংস্টার, আজিজ মোহাম্মদ গ্যাং স্টার বাংলাদেশ, আবিদ হোসেন বিশে^র শ্রেষ্ট স্বর্ণ স্মাগলার পাকিস্তান এছাড়াও পৃথিবীর কিছু মাফিয়া ক্রাইম শীর্ষ দেশ রাশিয়া, ইতালী, তুর্কি, আমেরিকা, চীন, ব্রাজিল, পাকিস্তান, মায়ানমার, কানাডা, ভারত, মেক্সিকো, কলোম্বিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, উত্তর কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন সহ বিশ^ব্যাপী অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী জঙ্গী কার্যকলাপে বাদ পরেনি বাংলাদেশও। মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা পৃথিবীতে এর সাথে পরাশক্তিতে তফাত কি? একটি অনিরাপদ বিশে^র জন্য এর দায় ভার কোন ভাবেই জাতিসংঘ এবং বিশ্ব পরাশক্তি দেশগুলো এড়িয়ে যেতে পারে না। দুনিয়ামুখী বিলাশী নগ্ন স্বার্থের কাছে সভ্যতা, মানবতা, প্রিয় জীবন কি মূল্যহীন? সৃষ্টিকর্তাকে কী চ্যালেঞ্জ করছি? সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার, ঘুরে দাঁড়াবার। বলার অপেক্ষা রাখেনা একটি সুন্দর নিরাপদ মানবিক শান্তি প্রিয় পৃথিবী গড়ার জন্য গোটা পৃথিবীতে নিরাপদ নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। তবুও পৃথিবীর আজ যে সকল শান্তি প্রিয় দেশ, জনগণ, সংগঠক ও সংগঠন যে বা যারা নিজ নিজ স্থান থেকে ব্যক্তিগত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি সুন্দর, নিরাপদ, মানবিক, সভ্য পৃথিবীর জন্য যে অবদান রেখে চলেছে তা অবশ্যই প্রশংসা যোগ্য কিন্তু সেটা সময়ের প্রয়োজনে খুবই ক্ষীণ।
“পৃথিবী হবে সবার” এই শ্রেষ্ঠতম মানবিক মূল্যবোধে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সহযোগীতা+বন্ধন+উন্নয়ন+শান্তি এই চার ঐক্যে বিশ^াসী ও একত্রিত হয়ে কাজ করতে পারলে বর্তমান পৃথিবীর এই ভয়ংকর দুঃসময়ের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো কঠিন হলেও হয়তো অসম্ভব নয়। যদি আমাদের চরম হীনমানসিকতা এভাবে চলতে থাকলে অসীম ত্যাগের আধুনিক পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য বিশ্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা, আধিপত্য আর সম্পদই যেন মুখ্য বিষয়! সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব হিসাবে প্রত্যেকটি মানুষের পৃথিবীতে স্বাধীন, সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকা তার সুযোগ নয়, এটা তার সৃষ্টিগত অধিকার। শান্তিতে জুলিও কুরি, নোবেল পুরুস্কার কি আজ মূল্যহীন? প্রিয় জীবন, প্রিয় পরিবার, প্রিয় দেশ আর প্রিয় পৃথিবীর জন্য বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সিদ্ধান্ত যত কঠিনই হক তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, ইয়ামেনে অতিদ্রæত শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করে বিশ্ব পরাশক্তি এবং জাতিসংঘকে প্রমান করতে হবে তাঁরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রশ্ন আর কত রক্ত, আর কত জীবন, আর কত সময় দিলে বিলাসিতার লোভে আর প্রতিহিংসায় নিমজ্জিত বিশ^ বিবেক জাগ্রত হবে? নিরাপদ বিশ্ব আন্দোলন শুরু হোক বাংলাদেশ থেকেই।
